অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়েল গার্নার, মাইকেল হোল্ডিং, কলিন ক্রফটের পর ম্যালকম মার্শাল এসে ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণকে করে তুলেছিলেন আগুন। রবার্টস বলতেন, প্রতিপক্ষ তাদের যত রানেই অলআউট করুক না কেন, তাঁরা প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেবেন তার চেয়েও কম রানে।
তবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলছেন, এবার সেই আক্রমণকে চ্যালেঞ্জ জানানোর আরেক চতুষ্টয় এসে গেছে। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনারের সঙ্গে কাইল জেমিসনের সমন্বয়ে কিউই পেস আক্রমণকে কিংবদন্তি উইন্ডিজ চতুষ্টয়ের সঙ্গে তুলনাও করেছেন চ্যাপেল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড নেমেছিল স্বীকৃত স্পিনার ছাড়াই। চার পেসারের সঙ্গে ছিলেন অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ফাইনালে তাঁদের পারফরম্যান্স নজরে এসেছে চ্যাপেলের।
ক্রিকইনফোতে লেখা এক কলামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস চতুষ্টয়ের সঙ্গে তুলনার কথাও বলেছেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ডের পেস চতুষ্টয়—টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনার ও কাইল জেমিসন তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে শ্রেষ্ঠত্বের দীর্ঘ লড়াইয়ে শেষ দিনে জয় এনেছে। নিউজিল্যান্ড আক্রমণের প্রভাব এমনই ছিল সে জয়ে, ১৯৭০ থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত শাসন করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভয়ংকর আক্রমণের সঙ্গে তুলনার কথাও উঠেছে এরপর।’
সে তুলনায় যে পরিসংখ্যান টেনেছেন চ্যাপেল, তাতে এগিয়ে নিউজিল্যান্ডের চারজনই, ‘আমার মতে, ভয়ংকর সেসব চতুষ্টয়ের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা কম্বিনেশন ছিল অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং ও জোয়েল গার্নারের। পেসের কথা বললে নিশ্চিতভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুষ্টয় বিনা বাক্যে এগিয়ে থাকবে। তবে ফল কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সে কম্বিনেশন একসঙ্গে খেলেছে মাত্র ৬টি ম্যাচ, তারা না হারলেও ৩টি হয়েছিল ড্র।’
সাউদি, বোল্ট, ওয়াগনার ও জেমিসনরা একসঙ্গে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫টি ম্যাচ, নিউজিল্যান্ড হারেনি একটিও। অবশ্য এই ৫টির মধ্যে ৪টিই নিউজিল্যান্ড খেলেছে ঘরের মাঠে। শেষ যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, সেটিও হয়েছে হ্যাম্পশায়ারের পেস-সহায়ক কন্ডিশনে। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ ম্যাচই ড্র হয়েছিল বাজে আবহাওয়ার কারণে।
অবশ্য ক্যারিবীয়দের যে পেস–চতুষ্টয় খেলেছে বেশি, সে কম্বিনেশনকে বেছে নেননি চ্যাপেল। রবার্টস, গার্নার, হোল্ডিংয়ের সঙ্গে কলিন ক্রফট মিলে খেলেছিলেন ১১টি ম্যাচ। এর মধ্যে পাঁচটি জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ড্র হয়েছিল পাঁচটি, তারা হেরেছিল একটিতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই চতুষ্টয়নীতি অবশ্য নিউজিল্যান্ডের এই দলের আগে সে অর্থে পরে আর কোনো দল গ্রহণ করেনি । তবে ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার রে লিন্ডওয়াল, কিথ মিলার, বিল জনস্টন ও রন আর্চারের কথা বলেছেন চ্যাপেল। চারজনই নতুন বলে দারুণ ছিলেন, গতিও ছিল তাঁদের। তাঁদের মধ্যে মিলার ছিলেন আবার অলরাউন্ডার। ফলে তাঁদের সঙ্গে দুজন স্পিনার খেলানোর সুযোগও পেত অস্ট্রেলিয়া। চ্যাপেলের মতে, সর্বকালের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ বোলিং আক্রমণ ছিল।
0 coment rios:
দয়া করে কোনো অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করবেন না।