এর আগে গত মাসে তিন নভোচারী উত্তর–পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে লং মার্চ ২-এফ রকেটে করে তিয়ানগং নামের ওই স্পেস স্টেশনে পৌঁছান। সেখানে তাঁরা তিন মাস অবস্থান করবেন। এটিই এখন পর্যন্ত নভোচারীদের নিয়ে চীনের সবচেয়ে দীর্ঘ মিশন। মহাকাশ যাত্রার আগে নভোচারীদের ছয় হাজার ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথমে স্টেশনের যান্ত্রিক হাতের মাধ্যমে লিউ বমিং নামের এক নভোচারীকে কেবিনের বাইরে নেওয়া হয়। পরে কেবিনের বাইরে আসেন ট্যাং হংবো নামের অপরজন। এ মিশনে তাঁদের কাজের মধ্যে রয়েছে তিয়ানহে কোর মডিউলের বাইরে প্যানোরমিক ক্যামেরা স্থাপন এবং যান্ত্রিক হাতের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা।
এদিকে দুই নভোচারীকে নিয়ে টেলিভিশনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশন থেকে বের হওয়ার আগে তাঁরা বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম পরে নিচ্ছেন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এরপর তাঁরা কেবিনের দরজা খুলে বের হন।
লিউ বমিং ও ট্যাং হংবো ছাড়াও এ মহাকাশ মিশনে রয়েছেন নাই হেইশেঙ। চীনের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
পাঁচ বছর পর মহাকাশে নভোচারী অভিযানের বিষয়টি চীনের জন্য বিশেষ মর্যাদার বিষয় হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির ১০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণীয় করতে ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করেছে।
মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ সম্পন্ন করতে আগামী বছরের শেষ নাগাদ ১১ বার মহাকাশ যাত্রা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে দেশটি। এর মধ্যে তিনবার নভোচারীসহ মিশন পরিচালনা করা হবে। ৭০ টন ওজনের স্টেশন তৈরিতে যুক্ত করা হবে বিশেষ দুটি পরীক্ষাগার মডিউলের পাশাপাশি সরবরাহ ও ক্রু মডিউল।
0 coment rios:
দয়া করে কোনো অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করবেন না।