টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টের সমস্যার কারণ
● যাদের নিজের অজান্তেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে দাঁতে দাঁত ঘষার অভ্যাস আছে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। অনেকে রেগে গেলে, দুশ্চিন্তায় বা ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষে। এতে অস্বাভাবিক চাপে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এমন অভ্যাস থাকলে দন্ত বিশেষজ্ঞের পরমার্শ নেওয়া জরুরি। দাঁত দিয়ে পেনসিল বা শক্ত কিছু চিবানোর বদভ্যাস থেকেও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
● ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে হাড় ক্ষয় হতে পারে। ফলে জয়েন্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাদের হাড়ে বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা হাড় ক্ষয় রোগ আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে।
● আমরা যখন মুখ বন্ধ করি, তখন ওপরের ও নিচের পাটির দাঁত একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়। এর তারতম্য হলেই নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম দাঁত সংযোজনের সময়ও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
● যাদের একদিকের দাঁত দিয়েই সব সময় খাবার চিবানোর অভ্যাস অথবা যাদের একদিকের দাঁত নেই, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে চোয়ালের দুই পাশ থেকেই চিবানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
● দুর্ঘটনায় বা অন্য কোনো কারণে মুখে আঘাত লাগলে এই অস্থিসন্ধিতে সমস্যা হতে পারে।
● যারা দীর্ঘ সময় কান ও কাঁধের মধ্যে ফোন চেপে বাঁকা হয়ে কথা বলে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানোর সময় অনেকেই এভাবে কথা বলেন। দীর্ঘ সময় মাথা ঝুঁকে কম্পিউটারে বা অন্য কোনো কাজ করলেও এই অস্থিসন্ধিতে সমস্যা হতে পারে।
টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টের সমস্যায় অবহেলারও সুযোগ নেই। সমস্যা জটিল হয়ে উঠলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়তে পারে। কাজেই সমস্যার শুরুতেই দ্রুত দন্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। প্রথমেই রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষ কিছু ব্যায়াম, অভ্যাসের পরিবর্তন, নরম খাবারে অভ্যাস গড়ে তোলা, আঠালো খাবার পরিহার, কিছু ওষুধ ইত্যাদির সমন্বয়ে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হয়।