সর্বশেষ

সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১

চোয়ালের অস্থিসন্ধির সমস্যা

চোয়ালের অস্থিসন্ধির সমস্যা

টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টের সমস্যার কারণ

● যাদের নিজের অজান্তেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে দাঁতে দাঁত ঘষার অভ্যাস আছে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। অনেকে রেগে গেলে, দুশ্চিন্তায় বা ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষে। এতে অস্বাভাবিক চাপে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এমন অভ্যাস থাকলে দন্ত বিশেষজ্ঞের পরমার্শ নেওয়া জরুরি। দাঁত দিয়ে পেনসিল বা শক্ত কিছু চিবানোর বদভ্যাস থেকেও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।

● ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে হাড় ক্ষয় হতে পারে। ফলে জয়েন্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাদের হাড়ে বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা বা হাড় ক্ষয় রোগ আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে।

● আমরা যখন মুখ বন্ধ করি, তখন ওপরের ও নিচের পাটির দাঁত একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়। এর তারতম্য হলেই নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম দাঁত সংযোজনের সময়ও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

● যাদের একদিকের দাঁত দিয়েই সব সময় খাবার চিবানোর অভ্যাস অথবা যাদের একদিকের দাঁত নেই, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে চোয়ালের দুই পাশ থেকেই চিবানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।



● দুর্ঘটনায় বা অন্য কোনো কারণে মুখে আঘাত লাগলে এই অস্থিসন্ধিতে সমস্যা হতে পারে।

● যারা দীর্ঘ সময় কান ও কাঁধের মধ্যে ফোন চেপে বাঁকা হয়ে কথা বলে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানোর সময় অনেকেই এভাবে কথা বলেন। দীর্ঘ সময় মাথা ঝুঁকে কম্পিউটারে বা অন্য কোনো কাজ করলেও এই অস্থিসন্ধিতে সমস্যা হতে পারে।

টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্টের সমস্যায় অবহেলারও সুযোগ নেই। সমস্যা জটিল হয়ে উঠলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়তে পারে। কাজেই সমস্যার শুরুতেই দ্রুত দন্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। প্রথমেই রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষ কিছু ব্যায়াম, অভ্যাসের পরিবর্তন, নরম খাবারে অভ্যাস গড়ে তোলা, আঠালো খাবার পরিহার, কিছু ওষুধ ইত্যাদির সমন্বয়ে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হয়।

রোদে কেনো যাবেন, কখন যাবেন

রোদে কেনো যাবেন, কখন যাবেন


ত্বকের জন্য কয়েক ধরনের উপকার করে ভিটামিন ডি। রুক্ষ ও প্রাণহীন ত্বক গ্লোয়িং, গ্রোথ ও রিপেয়ার, ত্বকের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো, বয়সের ছাপ দূর করা, ব্রণ কমানো, ফাইন লাইন ও কালো দাগ কমানোর মতো কাজ করে এই ভিটামিন।

শরীরে রোদ লাগা ভালো
শরীরে রোদ লাগা ভালো
ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র পরিমাণ

প্রতিদিন ভিটামিন ডি নিতে হবে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণে। বাড়তি ভিটামিন ডির জন্য বেশি রোদে থাকলে হিতে হবে বিপরীত। ভিটামিন ডি মাপার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি মাইক্রোগ্রাম (এমসিজি) ও অন্যটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট (আইইউ)। মেডিসিন ইনস্টিটিউটের খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ডের মতে, শিশু ও তরুণদের প্রতিদিন ৬০০ আইইউ বা ১৫  এমসিজি ভিটামিন ডি দরকার।



কখন যাবেন রোদে

দুপুরের ঠিক আগমুহূর্তে রোদে যাওয়ার সঠিক সময়। কারণ এই সময়ে সূর্যের তাপ বেশি থাকে। তাই অল্প সময়েই আপনি পেয়ে যাবে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি। বিভিন্ন গবেষণা বলে, এই সময়টাতে ভিটামিন ডি নেওয়ার জন্য শরীর সব থেকে বেশি উপযোগী থাকে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিড ডে-র পরে রোদে যাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। এতে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
ছবি: পেকজেলসডটকম

১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়সঠিক উপায়

রোদে গেলেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে না। বরং মানতে হবে সঠিক নিয়ম। ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ সময়ে যতটা সম্ভব ছোট হাতার পাতলা কাপড় পরতে হবে, যেন রোদ সরাসরি গায়ে লাগে। মুখে রোদ লাগাতে না চাইলে সূর্যের দিকে পিঠ এলিয়ে দিয়ে বসতে পারেন। ত্বক খুব বেশি স্পর্শকাতর না হলে সানস্ক্রিন ছাড়া কিছু সময় রোদে বসলে ত্বক বেশি ভিটামিন ডি পাবে। এ ছাড়া চাইলে সানগ্লাস ও হ্যাট পরেও রোদে বসা যায়।

স্মার্টফোনে আসক্তি ও একটি প্রজন্মের হারিয়ে যাওয়া

স্মার্টফোনে আসক্তি ও একটি প্রজন্মের হারিয়ে যাওয়া


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অসম্ভব জনপ্রিয়তা সম্ভবত বাস্তব জীবন আর স্ক্রিনবন্দী জীবনের মধ্যে সীমারেখা টেনে দিচ্ছে; সেখানকার একটি জীবন চেনে না আরেকটি জীবনকে। একই ব্যক্তির যেন দুটি সত্তা; একটি বাস্তবতার টানাপোড়েনে পরিপূর্ণ আর অন্যটি স্ক্রিনে কৃত্রিম আলোর মতোই ঝলমলে আর চোখধাঁধানো। দুটি জীবনের কুশীলবরা যেন অনেকটাই আলাদা। আমরা সচরাচর শিশু-কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে স্ক্রিনবন্দী জীবনে আসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করি। কিন্তু আমরা যাঁরা পরিণত প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছি, তাঁরা কি সত্যিকার অর্থে এই আসক্তি থেকে দূরে আছি? শৈশব, কৈশোর কিংবা যৌবনের পরিক্রমায় আমরা যে ভালো অভ্যাসগুলো অর্জন করেছিলাম, সেই অভ্যাসগুলো আমরা কি ধরে রাখতে পেরেছি? আমরা নিজেরা কি হারাতে বসিনি সামাজিকতা, মূল্যবোধ আর শিষ্টাচারের শিক্ষা?



শিশু-কিশোর-তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভরতা আর মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি নিয়ে আলোচনা হয় বিস্তর। সন্তানদের মোবাইল আসক্তি নিয়ে অভিযোগ প্রায় প্রতিটি মা-বাবার। কিন্তু এদিকে মা-বাবাই যে মোবাইল আসক্তিতে তলিয়ে যাচ্ছে সেই খবর কি আমরা রাখি? আমরা শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গঠন নিয়ে চিন্তিত, চিন্তিত শিশুদের সুস্থ বিনোদনের চর্চা নিয়ে। অথচ বই পড়ার নেশায় বুঁদ হয়ে আমরা যে প্রজন্মটি বেড়ে উঠেছিলাম, সেই প্রজন্মটি বই পড়া ভুলতে বসেছি।

বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, হুমায়ূন আহমেদ কিংবা মাসুদ রানা পড়ে বড় হওয়া এই আমরা আজকাল আর বইয়ের অভাব অনুভব করি না। লুকিয়ে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া, নিয়ম করে বিটিভির অনুষ্ঠান দেখা, গলা ছেড়ে কোরাস গান করা কিংবা স্কুল–কলেজের খেলার মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো প্রজন্মের প্রতিনিধি হয়ে আমরা কি নির্দয়ভাবে নিজেদের সঁপে দিয়েছি মোবাইলের হাতে। কিছু চটকদার খবরের শিরোনাম, টিকটক, পরিচিতদের নিউজ ফিড, কিছু ভিডিও লিংক আর চ্যাটিংয়েই সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি নিজেদের জীবন। শিশু-কিশোর-তরুণদের মোবাইল আসক্তি নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা হয়, আলোচনা হয়। কিন্তু পরিণত প্রজন্মটির বদলে যাওয়া অভ্যাস নিয়ে কেউ কথা বলে না। অথচ পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে আমাদের মতো পরিণত প্রজন্মের প্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল আচরণ ও চর্চা খুব জরুরি। আমরা নিজেরাই দিগ্ভ্রান্ত হয়ে পড়লে কাদের অনুসরণ করবে শিশু-কিশোর-তরুণেরা?

সুযোগ পেলে নায়িকা চরিত্রেও অভিনয় করতে চাই

সুযোগ পেলে নায়িকা চরিত্রেও অভিনয় করতে চাই


লকডাউনে কেউ কেউ শুটিং করছেন। আপনিও শুটিংয়ে নাকি?

তিন দিন টানা শুটিং ছিল। লকডাউনের কারণে ক্যানসেল হয়েছে। বাসা থেকে একদমই বের হই না।

‘এখানে কেউ থাকে না’-এর ট্রেলার দেখে মনে হলো হরর ধাঁচের নাটক।

এই ধরনের নাটকে আগে অভিনয় করা হয়নি। হররের পাশাপাশি সুপারন্যাচারাল ব্যাপারও আছে। আমি এত দিন ধরে যত ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছি, এমন গল্প পাইনি। আমার মনে হয়, দর্শকেরা এই ধরনের নির্মাণও দেখেননি। অনিমেষ আইচ আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু, একসঙ্গে থিয়েটার করেছি, ও যেভাবে এবং যে বিষয়ে গল্পটা বলতে চেয়েছে, পেরেছে। টেলিভিশনে এখন যে ধরনের নাটক চলে, তার চেয়ে ভিন্নভাবে গল্পটা বলতে চেয়েছে।



বন্ধু পরিচালক বলেই কী এসব বলছেন?

আমি তো আগেও ওর পরিচালনায় কাজ করেছি। এবার মনে হয়েছে, অনিমেষ আরও বেশি মগ্ন হয়ে কাজ করেছে। বন্ধু তো বন্ধুত্বের জায়গায়। এই নাটকে সত্যিই সে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছে। অনেক বেশি সিনসিয়ার ছিল, যদিও সব সময় থাকে। অনেক ভালো অভিনয়শিল্পীরাও যুক্ত ছিলেন। অনেক ভালোবেসে গল্পটা বলতে চেয়েছে, মনে হয়েছে।

শাহেদ আলী।
শাহেদ আলী। 
সংগৃহীত

নাটক দেখে দর্শক ভয় পাবেন তো?

ভয়ের চেয়েও দর্শক নানা রকমের অনুভব পাবেন। এটার মধ্যে কমেডি যেমন আছে, তেমনি ভালোবাসা, হিংসা ও সম্পর্কের খেলা আছে। এককথায় অনেক ধরনের মিশেল আছে। নাটকে আমি হাকিম নামের একজন সচেতন থিয়েটারকর্মী। বাকিটা দর্শকেরা দেখুক, নিজেরা জানুক।

রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

সবার জন্য একটাই সাইজ, ওভারসাইজ’

সবার জন্য একটাই সাইজ, ওভারসাইজ’


ধীরে ধীরে ওভারসাইজড ফ্যাশনের জন্য তৈরি হয় গ্রামার। এখন তো ‘ওভারসাইজড’ ধারণা নিয়ে গ্রীষ্ম, শীত, বসন্তের ফ্যাশন উইকে আলাদা করে র‍্যাম্পও হয়। তারকারা হরহামেশাই ওভারসাইজড পরে বেরিয়ে পড়েন। ভেতরে অনায়াসে বাতাস চলাচল করতে পারে, আরাম আর স্বস্তিদায়ক বলে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি এতটুকু। ‘সবার একটাই সাইজ, ওভারসাইজ’ স্লোগান নিয়ে এই ফ্যাশনকে জনপ্রিয় করার মিছিলে দলে দলে শামিল হয়েছে তারকা ফ্যাশনিস্তা থেকে আমজনতা—সবাই।

জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ওভারসাইজড’ ফ্যাশন
জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ওভারসাইজড’ ফ্যাশন 
ছবি: ইনস্টাগ্রাম


সিঙ্গাপুরিয়ান ফ্যাশন ব্লগার ইভান ঝ্যাং তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘ইয়োর অ্যাভারেজ জেন্ট’ চ্যানেলে ‘ওভারসাইজড’ পোশাক পরার ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একনজর চোখ বুলিয়ে নিন সেগুলোতে।

১. স্মল, মিডিয়াম, লার্জ, এক্সট্রা লার্জ, এক্সট্রা এক্সট্রা লার্জ। আপনার জন্য যেটা স্বাভাবিক তার এক বা দুই সাইজ বড় পরবেন। খেয়াল রাখবেন হাতের আঙুলগুলো যেন সবটা ঢাকা না পড়ে। তাহলে সেটা ‘ওভার ওভারসাইজড’। ওভারসাইজে হাতের তালু ঢাকা থাকবে, আঙুল বেরিয়ে থাকবে। টপসের ক্ষেত্রে আপনার হাত ঊরুর যতটা যায়, ততটা হবে। নতুবা মনে হবে, এটা ফ্যাশন নয়, আপনি অন্য কারও জামা পরে চলে এসেছেন!

‘ওভারসাইজড’ শার্টে বোল্ড লুক
‘ওভারসাইজড’ শার্টে বোল্ড লুক 
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২. একসঙ্গে দুটো ওভারসাইজড পরা যাবে না। টি–শার্ট বা টপস যদি ওভারসাইজড পরেন, তাহলে প্যান্টটা নরমাল হতে হবে। উল্টোটাও হতে পারে। স্বাভাবিক একটা টপ বা টি–শার্টের সঙ্গে ওভারসাইজড প্যান্ট পরলেন। তবে ফ্যাশন নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের উপদেশ, ‘জাস্ট গো ফর অ্যান ওভারসাইজড টপ’।


৩. মনে রাখতে হবে ‘ওভারসাইজড’ কোনো ফরমাল ফ্যাশন না। কেবল ক্যাজুয়াল লুকের জন্য এই ফ্যাশন। ফরমাল পোশাক যেমন শার্ট বা কোট, সালোয়ার কামিজ—এগুলো ওভারসাইজড হলে ভালো দেখায় না।


৪. ওভারসাইজড এ শুকনা শরীরকে আরও শুকনা দেখায়। স্থূল শরীরকে আরও স্থূল দেখায়। হাইট যাদের কম, তাদের হাইট আরও কম দেখায়। তাই অ্যাভারেজ বডিতে ওভারসাইজডের স্বাধীনতা ভোগ করা যায়। নতুবা এক বা দুই সাইজের বেশি নয়।

ওভারসাইজড এ শুকনা শরীরকে আরও শুকনা দেখায়
ওভারসাইজড এ শুকনা শরীরকে আরও শুকনা দেখায়
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

৫. যেকোনো একটা কিছু ওভারসাইজড হলে বাকি সবকিছু সিম্পল, ইজিগোয়িং’ রাখতে হবে। নতুবা সবকিছু ‘অন্য রকম’ হলে ভালো দেখাবে না। যেমন ওভারসাইজড টপ পরলে এর সঙ্গে স্বাভাবিক জুতা বা ঘড়ি পরুন। তাতে ওভারসাইজড ফ্যাশন পুরোপুরি ফুটে উঠবে। নতুবা আপনাকে যে দেখবে তার মনোযোগ বিঘ্নিত হবে। আপনার ওপর থেকে চলে যাবে আপনার পোশাকের ওপর। ফলে সেটা অন্যজনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আপনার ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠবে ‘কনফিউজিং’।

গান বাঁধছেন রাবা খান

গান বাঁধছেন রাবা খান


কী বিচিত্রই না তাঁর অন্যকে নকল করার ভঙ্গি! হবু বরের রসবোধ নেই বলে হুট করেই বিয়ে ভেঙে দিতে চায়। এ রকম এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি একটা লেহেঙ্গা পরেছিলাম। আমাকে পরির মতো লাগছিল। ভাবলাম হবু বরকে একটা ছবি পাঠাই, দেখি কী বলে। আমি একটা ছবি পাঠালাম, সে একটা থামস আপ পাঠাল! এ বিয়ে আমি করব না।’

‘দ্য ঝাকানাকা প্রজেক্ট’-এ এ রকম মজার সব ভিডিও পোস্ট করেন রাবা। চ্যানেলটি অনুসরণ করে ২ লাখ ৮১ হাজার লোক। এসবের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন রাবা। ২০২০ সালে ফোর্বসের এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীর (চেঞ্জমেকার) তালিকায় উঠে এসেছিল তাঁর নাম। ফোবর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রাবা খান সমাজের নানা বিষয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে পরিচিতি পেয়েছেন। কথা ছিল বেশ কয়েকটি দেশে গিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবেন তিনি। কিন্তু শুরু হয়ে গেল মহামারি! মানুষের মতো অপেক্ষার ঘরে ঢুকে গেল ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’র প্রকল্প।

ফেসবুকে প্রকাশিত গল্প থেকে নাটক

ফেসবুকে প্রকাশিত গল্প থেকে নাটক


ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে নাটকটির শুটিং। নাটকের মূল উপজীব্য বৃষ্টি। এ বছর বর্ষার টানা বৃষ্টিকেই তাই কাজে লাগিয়েছেন আরিয়ান। যদিও শুটিংয়ের কৃত্রিম বৃষ্টিও নামাতে হয়েছে, তবে টানা বৃষ্টিতে বেশ একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
‘হ্যালো শুনছেন?’ নাটকের মূল নামও ছিল বৃষ্টি। রাসয়াত রহমান জিকো এক বৃষ্টির রাতে হাসপাতালের আইসিইউর বাইরে বসে লিখেছিলেন গল্পটি। তিনি বলেন, ‘আমার মা আইসিইউতে অচেতন ছিলেন। আমরা জানতাম, তিনি মারা যাচ্ছেন। কিছুদিন পরে তিনি মারাও যান। বৃষ্টির রাতটা আমার কাছে খুব কষ্টের ছিল, আমি ভাবতে চেষ্টা করছিলাম, বৃষ্টিতে কি শুধু খারাপ ঘটনাই ঘটে? অন্য রকম কিছু ঘটতে পারে না? সেখান থেকে গল্পটার সৃষ্টি।’



গল্পটি প্রথমে একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে ২০১৪ সালে রাসয়াত রহমানের কলম বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। রাসয়াত রহমান বলেন, গল্পটা যখন লিখেছি, তখনই ভাবছিলাম, গল্পটা পড়ার চেয়ে দেখতে বেশি সুন্দর হবে। আমি খুবই আনন্দিত যে আরিয়ানের মতো দক্ষ একজন নির্মাতা গল্পটি নিয়ে নাটক বানাচ্ছেন।
নাটকটি প্রেমের কি না, সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলছেন না সংশ্লিষ্টরা। নির্মাতা আরিয়ান বলেন, এটা একটা অদ্ভুত গল্প। চরিত্রগুলোও অদ্ভুত। নাটক-উপন্যাসে এমন চরিত্র সাধারণত উঠে আসে না; বিশেষ করে ছেলেটির চরিত্র একটু বেশি অদ্ভুত। গল্প ছাড়াও নাটকে জিকোর স্বভাবসুলভ হাস্যরসের উপাদান রয়েছে। আশা করছি, দর্শকেরা নাটকটি পছন্দ করবেন।
নাটকটির মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় জুটি তানজিন তিশা ও আফরান নিশো। ঈদুল আজহায় রিলিজ পেতে পারে ‘হ্যালো শুনছেন?’।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস-চতুষ্টয়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে নিউজিল্যান্ড?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস-চতুষ্টয়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে নিউজিল্যান্ড?


সেই বিখ্যাত পেস চতুষ্টয়
সেই বিখ্যাত পেস চতুষ্টয়
ছবি : টুইটার

অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়েল গার্নার, মাইকেল হোল্ডিং, কলিন ক্রফটের পর ম্যালকম মার্শাল এসে ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণকে করে তুলেছিলেন আগুন। রবার্টস বলতেন, প্রতিপক্ষ তাদের যত রানেই অলআউট করুক না কেন, তাঁরা প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেবেন তার চেয়েও কম রানে।

তবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলছেন, এবার সেই আক্রমণকে চ্যালেঞ্জ জানানোর আরেক চতুষ্টয় এসে গেছে। টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনারের সঙ্গে কাইল জেমিসনের সমন্বয়ে কিউই পেস আক্রমণকে কিংবদন্তি উইন্ডিজ চতুষ্টয়ের সঙ্গে তুলনাও করেছেন চ্যাপেল।




বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড নেমেছিল স্বীকৃত স্পিনার ছাড়াই। চার পেসারের সঙ্গে ছিলেন অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ফাইনালে তাঁদের পারফরম্যান্স নজরে এসেছে চ্যাপেলের।

কিউই পেস চতুষ্টয়ের আরেকজন - জেমিসন
কিউই পেস চতুষ্টয়ের আরেকজন - জেমিসন
ছবি : এএফপি

ক্রিকইনফোতে লেখা এক কলামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস চতুষ্টয়ের সঙ্গে তুলনার কথাও বলেছেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ডের পেস চতুষ্টয়—টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ওয়াগনার ও কাইল জেমিসন তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে শ্রেষ্ঠত্বের দীর্ঘ লড়াইয়ে শেষ দিনে জয় এনেছে। নিউজিল্যান্ড আক্রমণের প্রভাব এমনই ছিল সে জয়ে, ১৯৭০ থেকে ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত শাসন করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভয়ংকর আক্রমণের সঙ্গে তুলনার কথাও উঠেছে এরপর।’

সে তুলনায় যে পরিসংখ্যান টেনেছেন চ্যাপেল, তাতে এগিয়ে নিউজিল্যান্ডের চারজনই, ‘আমার মতে, ভয়ংকর সেসব চতুষ্টয়ের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা কম্বিনেশন ছিল অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং ও জোয়েল গার্নারের। পেসের কথা বললে নিশ্চিতভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুষ্টয় বিনা বাক্যে এগিয়ে থাকবে। তবে ফল কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সে কম্বিনেশন একসঙ্গে খেলেছে মাত্র ৬টি ম্যাচ, তারা না হারলেও ৩টি হয়েছিল ড্র।’

সাউদি, বোল্ট, ওয়াগনার ও জেমিসনরা একসঙ্গে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫টি ম্যাচ, নিউজিল্যান্ড হারেনি একটিও। অবশ্য এই ৫টির মধ্যে ৪টিই নিউজিল্যান্ড খেলেছে ঘরের মাঠে। শেষ যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, সেটিও হয়েছে হ্যাম্পশায়ারের পেস-সহায়ক কন্ডিশনে। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ ম্যাচই ড্র হয়েছিল বাজে আবহাওয়ার কারণে।

ওয়াগনার, বোল্ট ও সাউদি
ওয়াগনার, বোল্ট ও সাউদি
ছবি : স্টাফ নিউজিল্যান্ড

অবশ্য ক্যারিবীয়দের যে পেস–চতুষ্টয় খেলেছে বেশি, সে কম্বিনেশনকে বেছে নেননি চ্যাপেল। রবার্টস, গার্নার, হোল্ডিংয়ের সঙ্গে কলিন ক্রফট মিলে খেলেছিলেন ১১টি ম্যাচ। এর মধ্যে পাঁচটি জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ড্র হয়েছিল পাঁচটি, তারা হেরেছিল একটিতে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই চতুষ্টয়নীতি অবশ্য নিউজিল্যান্ডের এই দলের আগে সে অর্থে পরে আর কোনো দল গ্রহণ করেনি । তবে ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার রে লিন্ডওয়াল, কিথ মিলার, বিল জনস্টন ও রন আর্চারের কথা বলেছেন চ্যাপেল। চারজনই নতুন বলে দারুণ ছিলেন, গতিও ছিল তাঁদের। তাঁদের মধ্যে মিলার ছিলেন আবার অলরাউন্ডার। ফলে তাঁদের সঙ্গে দুজন স্পিনার খেলানোর সুযোগও পেত অস্ট্রেলিয়া। চ্যাপেলের মতে, সর্বকালের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ বোলিং আক্রমণ ছিল।